শিশুর মেধা বিকাশে মা-বাবার করনীয়

শিশুর মেধা বৃদ্ধিতে যা যা করনীয়

https://myhealthtips20.blogspot.com/2017/06/blog-post_88.html





আজকের শিশু আগামী দিনের পরিপূর্ণ মানুষ এবং জাতির উৎজ্জল ভবিষ্যৎ। এই জন্য শিশুকে জন্মের শুরু থেকে একটু বেশি দেখা-শুনা করা প্রয়োজন। কারন শিশুর জন্মের পর থেকেই প্রথম কিছু বছর তার শারীরিক মানসিক বিকাশের জন্য অনেক বেশি গুরুত্তপূর্ণ। এই কিছু বছরের কার্যকলাপের উপরেই শিশুর পরবর্তী জীবনের বুদ্ধিমত্তা নির্ধারণ করে। অনেকেই হইত মনে করতে পারেন, এই সময় শিশুর মেধাবিকাশের জন্য তেমন কিছুর প্রয়োজন নেই। কিন্তু এই অবহেলাই শিশুর পরবর্তী জীবনের বড় কোন মানসিক সমস্যার কারন হয়ে দাড়াতে পারে। শিশুর সুন্দর শৈশব এবং অনাবিল ভবিষের জন্য দরকার সঠিকভাবে বেড়ে উঠা। লেখা-পড়া, খেলা-ধুলা এবং সুন্দরভাবে তার জীবনকে আনন্দময়  করতে স্বাভাবিক জীবন একান্ত কাম্য। এই সময়ই শিশুর মেধাবিকাশে পর্যাপ্ত চর্চায় আগামী দিনের পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।  তাই শিশুর প্রথম বছরে বাবা-মা তার বিকাশের অবদান রাখতে পারেন এমন কয়েকটি টিপস জেনে নিন আজই---

>>>  যখন শিশুর বয়স শুরু হয়, তখন শিশুর সাথে প্রতিদিন অনেকটা সময় জুড়ে বারবার কথা বলা , সাথে সাথে গল্প শুনানো এবং তার সাথে গল্প করা। শিশুর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা। এতে করে শিশুর মেধার বিকাশ বৃদ্ধি হতে থাকে
>>> শিশুর বিভিন্ন রকমের গল্পের বই পড়ে শোনালে, সাথে সাথে ছড়া পড়ে শোনালে শিশুর মানসিক বিকাশে অনেক অবদান রাখতে সাহায্য করে থাকে। এতে শিশু বড় হলে অনেক মেধাবী হয়
>>> এমন কি শিশুর নাম ধরে বারবার ডাকলে, তাকে বিভিন্ন সাধারন কথাই অভ্যস্ত করে তুললে। এতে শিশু মূল্যবোধ ব্যবহত শব্দগুলো সহজেই অতিদুরত এবং করতে পারে।যার ফলে শিশুর মেধা বিকাশ অনেক ক্ষেত্রে বেড়ে যাই
>>> যদি দেখা যায় যে আপনার সন্তান কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে বারবার আনন্দিত হচ্ছে কিংবা নিজের উৎফুল্লতা প্রকাশ করছে তবে নিয়ে শিশুর সাথে কথা বলুন বারবার। যেমন অনেক সময় শিশুরা নির্দিষ্ট কোন খেলনা , কোন মিউজিক বা কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি দেখলে আনন্দ পায়। এর প্রক্রিয়া যাতে সবসময় আপনার সন্তানের সাথে ঘটে সেদিকে নজর দিন
>>> শিশু কি বলতে বা কি বোঝাতে চাইছে তা যথেষ্ঠ সময় ধৈর্য নিয়ে বুহতে চেষ্টা করুন। তার ব্যাপারটি বুঝতে পারছেন না বলে অযথা রাগ করবেন না বা ধৈর্য হারাবেন না। এতে শিশুর মানসিক সমস্যা তৈরি হতে পারে
>>> শিশুর চোখের সামনে সবকিছু রঙ্গিন রাখতে চেষ্টা করুন। রঙ্গিন কাগজ, রঙ্গিন খেলনা এসব শিশুর মেধার বিকাশ ঘটাতে বেশ সাহায্য করে
>>> তার বেড়ে ওঠার জন্যে যথাযথ পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং সন্তানের চাহিদাগুলো পূরণে সচেষ্ট হওয়া
>>>  শিশুর ওপর খবরদারী করা থেকে বিরত থাকা উচিত। এটা করো না, ওটা ধরো না, এটা করো, সেটা ধরো-এসব করা ঠিক নয়। তারচে বরং এসব কথা যাতে বলতে না হয়, সে ব্যাপারে আগেই সচেতন থাকা উচিত। এসব করা হলে শিশুর সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে
>>> শিশুর জন্যে যেসব জিনিসপত্র তিকর ভয়াবহ, সেসব জিনিস তার হাতের নাগালে রাখা অনুচিত। অন্যথায় শিশু যদি ঐসব জিনিস দিয়ে কোন জরুরী কিছু নষ্ট করে, তাহলে ঐসব জিনিস নষ্ট করার জন্যে শিশুকে কোনভাবেই দোষারোপ করা যাবে না। অর্থাৎ তার ওপর রাগ দেখানো যাবে না
>>> বাবা-মায়ের উচিত বাসায় তাদের জরুরী জিনিসগুলো যথাযথ জায়গায় রাখা। ছুরি-চাকু বা ধরণের ধারালো জিনিসগুলো, বিষাক্ত ঔষধপত্র, কীট নাশক জাতীয় জিনিস, কাঁচের জিনিসপত্র, দামী তৈজসপত্র, জরুরী কাগজপত্র প্রভৃতি শিশুর হাতের নাগালের বাইরে রাখা উচিত
>>> শিশু যখন জেগে থাকে, তখন এমন কোন জিনিস বের করা বা মেরামত করার জন্যে খোলা ঠিক নয়, যার ছোট্ট একটি যন্ত্রাংশ হারালে বা নষ্ট হলে পুরো জিনিসটাই নষ্ট হয়ে যাবে। অন্যকথায় শিশু এসব যন্ত্রপাতি নষ্ট করলে তার ওপর রেগে যাওয়া ঠিক নয়। কারণ শিশু সময়টায় কৌতূহলী হবে-এটাই স্বাভাবিক। তার কৌতূহল থেকে তাকে নিবৃত্ত করা যাবে না। অর্থাৎ দিকে এসো না, এটা ধরো না-এরকম বলা যাবে না। পরিবারে যদি স্কুলগামী কোন সন্তান থাকে, তাহলে তার বই-পুস্তকসহ অন্যান্য শিক্ষা-উপকরণ এমনভাবে রাখতে হবে, যাতে শিশু সেগুলো ধরতে না পারে, নষ্ট করতে না পারে। মায়ের যদি সেলাই কাজের অভ্যাস থাকে, তাহলে তা করতে হবে শিশু যখন ঘুমোয় তখন, অথবা এমন কোন জায়গায় যেখানে শিশুর উপস্থিতির সম্ভাবনা নেই। আর সুঁই-সূতা-ব্লেড ইত্যাদি রাখতে হবে নিরাপদ দূরত্বে

শিশুর উচ্চতা যেভাবে দ্রুত বৃদ্ধিতে করনীয়
সব বাবা-মার চিন্তা তার সন্তানকে নিয়েই থাকে। আর সন্তানের সুস্থতা সঠিকভাবে বেড়ে ওঠা নিয়ে হলে তো কথায় নেই। প্রতিদিনের আহারে শিশু সঠিক পুষ্টি পাচ্ছে কিনা, নিয়েও তাদের থাকে কত প্রশ্ন। কারণ পুষ্টির ওপরই শিশুর সঠিকভাবে বেড়ে ওঠা নির্ভর করে।তাহলে বুঝছেন কতটা সচেতন হওয়া দরকার বাবা-মাকে
একজন বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি শিশু যদি তার সমবয়সীদের তুলনায় কম উচ্চতাসম্পন্ন হয়, তবেই অভিভাবকরা নিয়ে চিন্তিত হতে পারেন এটা স্বাভাবিক। জেনে রাখুন একেক বয়সে উচ্চতা বৃদ্ধির হার একেক রকম। দুই বছর বয়স পর্যন্ত শিশু বছরে ২০ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এরপর হার কমে আসে এবং - বছর বয়স পর্যন্ত এই হার বার্ষিক ১০-১২ সেন্টিমিটার হয়
- বছরে আরও কমে বছরে - সেন্টিমিটার হারে বাড়ে। আবার বয়ঃসন্ধিকালে হঠাৎ করেই লম্বা হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি বেড়ে যায়। শিশুরা বছরে ১০-১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। ১৪-১৫ বছরের পর থেকে বৃদ্ধির হার আবারও কমতে থাকে, গড়ে সেন্টিমিটার হারে বেড়ে চলে ১৯ থেকে ২১ বছর বয়স পর্যন্ত। এরপর একসময় বৃদ্ধি থেমে যায়
অনেক সময় লম্বা হওয়ার জন্য অনেক বাবা-মা শিশুকে ব্যায়াম করান। তবে শুধু ব্যায়াম করলেই হবে না ব্যায়ামের সাথে আপনার খাবারের দিকেও নজর দিতে হবে। অনেক খাবার আছে যা আপনার শিশুকে লম্বা হতে সাহায্য করবে। আসুন সেই সকল খাবারের নামগুলো জেনে নিই

ডিম

ডিম ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। আর সুস্থ শরীর, শক্ত হাড় লম্বা হতে সেদ্ধ ডিম অবশ্যই শিশুর খাবার টেবিলে রাখা দরকারি। কারন ডিম শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই জন্য শিশু ডিম না খাইতে চাইলেও তাকে জোর করে ডিম খায়ানো প্রয়োজন

দুধ

শিশুর বেড়ে ওঠা হাড় শক্ত করতে ক্যালসিয়াম খুবই উপকারি খাদ্য উপাদান। দুধ উচ্চতা বর্ধক হিসেবে কাজ করে এবং এতে উপস্থিত ভিটামিন ক্যালসিয়াম ধরে রাখতে সাহায্য করে। সুতরাং শিশুকে নিয়মিত দুধ খেতে দিতে ভুলবেন না। তাহলে আপনার আদরের শিশুটি তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠবে এবং সাথে সাথে লেখাপড়ায়ও অনেক হুশিয়ার হবে

কলা

কলা শিশুর বাড়াতে অনেক উপকারি খাদ্য। সুস্থ থাকতে মজবুত হাড় গড়তে নিয়মিত কলা খাওয়ান শিশুকে। উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করা ছাড়াও কলা হজমে সাহায্য করে পেট পরিষ্কার রাখবে আপনার শিশুকে

সামুদ্রিক মাছ

সামুদ্রিক মাছ প্রোটিন ভিটামিনে ভরপুর। স্যালমন টুনার মত মাছে আছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ডি প্রোটিন। যেটা আপনার শিশুর উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে। সুতরাং চেষ্টা করবেন প্রতিবার শিশুর খাবারের সময় যেন সামুদ্রিক মাছ থাকে

দই

যে কোন দুগ্ধ জাতীয় খাবারে প্রোটিন ক্যালসিয়াম থাকে। এছাড়া দই- ভিটামিন , বি, ডি আছে যা শিশুর উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে। সুতরাং অবশ্যই শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে দই জাতীয় খাবার বেশি খাওয়াতে হবে। তাহলেই শিশু খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠবে

গাজর

গাজরে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি আছে। ভিটামিন আপনার সন্তানের হাড়ের ক্যালসিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখে। এতে হাড় শক্ত সুস্থ থাকে। তার রান্না হোক বা কাচা গাজর খাওয়ার ব্যবস্থা করবেন

পালং শাক

এই সবুজ শাকটিতে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় ভিটামিন পুষ্টি আছে। এটা আপনার শিশুর উচ্চতা বাড়াতে দারুণ সাহায্য করবে। তাই যে কোনভাবেই আপনার শিশুকে বেশি বেশি পালং শাক খাওয়াতে চেষ্টা করবেন। তাহলে শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে আপনার চিন্তা করতে হবে না

সয়া

সয়া হাড়ে ভিটামিন ক্যালসিয়াম প্রবেশে সহায়তা করে থাকে। এছাড়া সয়াযুক্ত খাবার যেমন : সয়াবীন সয়াযুক্ত দুধ শিশুকে দিতে পারেন। এতে শিশুর হাড় মজবুত করতে সাহায্য করবে

মুরগির মাংস

মুরগির মাংসে প্রোটিনের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। এটি খেলে শরীরের টিস্যু পেশীর গঠন খুব ভাল ভাবে হয়। তাই আপনার শিশুকে চেষ্টা করবেন যাতে তাকে নিয়মিত মুরগির মাংস খেতে দিতে

!!!এধরনের আরও সুন্দর সুন্দর পোষ্ট পেতে আমাদের পেইজ এ ফলো(follow)করুন!!!


Previous
Next Post »